TOEFL IELTS Preparation Tips (TOEFL/IELTS প্রস্তুতির সম্পূর্ণ গাইড)
TOEFL ও IELTS পরীক্ষায় শীর্ষ স্কোর পেতে দক্ষতার সাথে প্রস্তুতি নিতে হয়। চূড়ান্ত রেজাল্ট অর্জনের জন্য নিয়মিত অধ্যবসায় এবং সঠিক কৌশল বাছাই জরুরি। এটি বিশেষভাবে প্রয়োজন পড়বে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীদের জন্য। যারা বিদেশে পড়াশোনা বা কাজের জন্য এই ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষায় ভালো স্কোর চান। এই গাইডটি TOEFL IELTS Preparation Tips কে কেন্দ্র করে তৈরি। এখানে কৌশলগত পরিকল্পনা থেকে শুরু করে চারটি অংশ। (পড়া, শোনা, লেখা ও বলা) উন্নয়নের টিপস, সময় ব্যবস্থাপনা, শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ উন্নয়ন এবং পরীক্ষার দিন টিপস দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শুরু
TOEFL অথবা IELTS-এ প্রস্তুতি শুরু করার প্রথম ধাপ হলো টেস্টের ফরম্যাট এবং প্রয়োজনীয় স্কোর জানা। প্রতিটি বিভাগের প্রশ্ন সংখ্যা এবং সময়কে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করুন। প্রথমে পরীক্ষার ধরণ বোঝার পর একটি স্টাডি প্ল্যান তৈরি করা জরুরি। প্রতিটি বিভাগের প্রশ্ন সংখ্যা এবং সময়কে মাথায় রেখে পরিকল্পনা করুন। যেমন, TOEFL iBT-এ পড়ার বিভাগে ৩-৪টি প্যাসেজ থাকে এবং মোট ৪০টি প্রশ্ন করতে হয়, যেগুলোর জন্য ৫৪-৭২ মিনিট সময় দেওয়া হয়। একইভাবে, শোনা বিভাগে ৩-৪টি বক্তৃতা এবং ২-৩টি আলোচনা শোনার পর মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, এটি প্রায় ৪১-৫৭ মিনিটে শেষ করতে হয়। এসব জেনে প্ল্যান করলে প্রস্তুতি সহজ হয়।
কাজ ভাগ করে নেওয়া এবং ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ যোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন, প্রথম সপ্তাহে নতুন ৫০টি শব্দ শেখা ও সেই শব্দগুলো ব্যবহার করে বাক্য লেখা। পরবর্তী সপ্তাহে একজন বন্ধু বা শিক্ষককে স্পিকিং অনুশীলন করানো। ছোট ছোট সাফল্য আত্মবিশ্বাস জোগায়। নিয়মিত মক টেস্ট দিয়ে ফলাফল বিশ্লেষণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে দুর্বল বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, ETS-এর TestReady অ্যাকাউন্ট তৈরি করলে আপনি TOEFL-এর একটি সম্পূর্ণ-মোটা পরীক্ষা বিনামূল্যে করতে পারবেন। এই ধরনের অনুশীলন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিতে সহায়ক। এছাড়া, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাইট থেকেও নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করা যায়। এসব মক টেস্ট বাস্তব পরীক্ষার অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

সময় ব্যবস্থাপনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ
পরীক্ষায় সফল হতে হলে সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং মানসিক প্রস্তুতির গুরুত্ব কম নয়। প্রতিদিনের পরিকল্পনায় স্পষ্ট টাইম ফ্রেম রাখুন। উদাহরণস্বরূপ, সকালে ৬-৭টা ইংরেজি সংবাদপত্র পড়া, দুপুরে মক টেস্ট দেয়া এবং বিকেলে কথা বলার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে আপনি নিয়মিত প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে পারবেন। ছোট বিরতি দিয়ে দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা পাওয়া যায়। পরীক্ষার অনুশীলনে টাইমার ব্যবহার করুন, যাতে পরীক্ষার সময়সীমার ধারণা হয়। British Council-এর মতে, প্রতিটি অংশে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, রিডিং অংশে ৪০টি প্রশ্নের জন্য ৫৪ মিনিট (TOEFL) অথবা ৬০ মিনিট (IELTS) সময় থাকতে পারে; তাই প্রস্তুতিতে প্রতিবার সেই সময়মাপকাঠিতে কাজ করুন।
লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী স্তর রাখুন। যেমন, প্রথম মাসে গ্রামার ও শব্দভাণ্ডার উন্নয়নে নজর দিন এবং তারপরে মক টেস্টে ৭০% স্কোরের লক্ষ্য রাখুন। দীর্ঘমেয়াদিতে কাঙ্ক্ষিত স্কোর ধরে রাখার পরিকল্পনা করুন। ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করে মনোবল বাড়ান। এতে আত্মবিশ্বাস অটুট থাকবে এবং কঠিন অধ্যায়ে মনোযোগ বাড়বে।
পড়ার দক্ষতা (Reading Tips)
প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের ইংরেজি লেখা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন; এতে শব্দভাণ্ডার ও পড়ার গতি দুইই বাড়ে। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা জার্নাল থেকে পড়াশোনা করুন। এটি একদিকে শব্দভাণ্ডার বাড়ায়, অন্য দিকে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। যেমন, একটি বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন পড়লে পরিসংখ্যান বোঝার দক্ষতা বাড়ে, আবার ইতিহাস পড়ে সময়ের ধারনা মজবুত হয়। Academic রিডিংয়ের অভ্যাস গড়তে অনলাইনে গবেষণাপত্র বা জার্নাল পড়ুন, কারণ TOEFL/IELTS রিডিং-এ প্রায়শই একাডেমিক ধরণের প্যাসেজ আসে। আরও পড়াশোনায় সাহায্যের জন্য পড়ার কৌশল সম্পর্কিত আমাদের পূর্বের পোস্টগুলো দেখুন।
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথমে প্রশ্নটি ভালো করে পড়ুন। প্রশ্নে ব্যবহৃত কী-ওয়ার্ড দেখুন এবং প্যাসেজে সেই অংশ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচে। উদাহরণস্বরূপ, প্রশ্নে ‘Cyclone’ শব্দ থাকলে ওই শব্দটি ব্যবহার করে প্যাসেজ স্ক্যান করুন এবং সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ পড়ে উত্তর দিন।
স্কিমিং ও স্ক্যানিংয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথমে শিরোনাম, প্রথম ও শেষ বাক্য দেখে প্যাসেজের সারমর্ম বুঝে নিন। এরপরে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ দিয়ে বুঝে নিন মূল ধারণা কী। এর ফলে পুরো প্যাসেজ পড়ে উত্তর দিতে সহায়ক অংশ নির্ধারণ করা যায়। পূর্ণ প্যাসেজ না পড়ে সময় বাঁচাতে এই কৌশল কাজে লাগে।
দ্রুত পড়ার অভ্যাস করুন। বিভিন্ন স্তরের বই বা অনলাইন রিডিং লিস্ট থেকে প্রতিদিন পড়ুন। পড়ার পর দু-একটি নতুন শব্দের অর্থ খুঁজে নিন এবং বাক্যে ব্যবহার করা চেষ্টা করুন। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শব্দভাণ্ডার বাড়াবেন; কারণ প্রতিটি নতুন শব্দ আপনার বক্তৃতা ও লেখায় সহায়তা করবে। তদুরান্তে, TOEFL বা IELTS-এর অফিসিয়াল প্র্যাকটিস বুক থেকে নমুনা রিডিং টাস্ক নিয়ে মক টেস্ট দিন; সময় বাড়িয়ে আদর্শ স্কোরের ওপর কাজ করুন।
শোনা দক্ষতা (Listening Tips)
শোনার দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিদিন ইংরেজি অডিও শুনুন। উদাহরণস্বরূপ, Voice of America (VOA) বা BBC English-এর সংবাদ, পডকাস্ট শোনার অভ্যাস করুন; এতে বিভিন্ন উচ্চারণ ও আলাপভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা বাড়ে। TOEFL-এর বক্তৃতায় সাধারণত আমেরিকান উচ্চারণ থাকে, আর IELTS-এ ব্রিটিশ বা অন্যান্য উচ্চারণও শোনা যায়। তাই বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি শুনুন। প্রথমে সাবটাইটেল সহ শুনে শব্দ টেনে নিন, পরে সাবটাইটেল বন্ধ করে শুনুন; এতে শব্দের স্বাভাবিক উচ্চারণ বুঝতে সুবিধা হয়।
শোনা অংশে নোট নেওয়ায় স্পেশাল গুরুত্ব রয়েছে। যখন কোনো অডিও শুনবেন, দ্রুত কী-ওয়ার্ড লিখে নিন, পুরো বাক্য নয়। মূল তথ্য, সংখ্যা বা কারিগরি শব্দগুলো টোকেন রাখুন। কথকের স্বরভঙ্গি (stress) বা intonation বদলালে সেটি মূল পয়েন্টের সংকেত। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বক্তা জোর দিয়ে বললে সেটি গুরুত্ব বোঝায়। Listening-এর প্রশ্নে মূল তথ্য ধরতে অনুশীলন চালিয়ে যান।
শোনার অভ্যাস বাড়াতে বাস্তব কথোপকথন শুনুন বা দেখুন। বন্ধু বা সহপাঠীর কথোপকথন শুনুন, কিংবা YouTube-এর শিক্ষামূলক চ্যানেল যেমন TED Talks দেখুন। দিনে ১৫-২০ মিনিট এইভাবে ইংরেজি শুনবেন। প্রয়োজন হলে সাবটাইটেল ব্যবহার করে শব্দ ধরুন। এই অভ্যাস Speaking অংশেও কাজে আসবে।
লেখা দক্ষতা (Writing Tips)
লেখার ক্ষেত্রে পরিষ্কার আউটলাইন তৈরি করুন। প্রথম অনুচ্ছেদে বিষয় পরিচিতি দিন এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো উল্লেখ করুন। মধ্যবর্তী অনুচ্ছেদে যুক্তিসঙ্গত কারণ ও উদাহরণ দিন, শেষে সংক্ষিপ্ত উপসংহার টানুন। এই পদ্ধতিতে লেখার কাঠামো পরিষ্কার হয় এবং উত্তর সুসংগঠিত হয়।
TOEFL-এ দুটি লিখন টাস্ক থাকে: একটি ইন্টিগ্রেটেড (ছোট রিডিং বা বক্তৃতা নিয়ে লিখতে হয়) এবং একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট (নিজের মতামত লিখতে হয়)। ইন্টিগ্রেটেড টাস্কের জন্য প্যাসেজ/অডিও থেকে তথ্য নোট করে সংক্ষেপে লিখার অভ্যাস করুন। ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রশ্নের মূল পয়েন্ট নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান দিন। প্রতিদিন অন্তত একটি ৩০০ শব্দের প্র্যাকটিস রচনা লিখুন এবং নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করুন।
IELTS-এ লিখন টাস্ক ১ (Academic) চার্ট/গ্রাফ বর্ণনা এবং টাস্ক ২-এ ২৫০ শব্দের রচনা থাকে। পরীক্ষার আগে Cambridge এর নমুনা টাস্ক সমাধান করুন। কাঠামো দেখে নিন (কীভাবে প্রশ্ন শুরু করা হয়, সংযোগসূত্র কী ব্যবহার হয়েছে)। রচনা লেখার আগে ২ মিনিট ধরে কীগুলো নোট করলে লেখা সহজ হয়।
লিখার সময় বাক্য গঠনে বৈচিত্র্য বজায় রাখা জরুরি। এজন্য বিভিন্ন ধরনের বাক্য ব্যবহার করুন, যেমন—উপস্থাপনার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে passive voice ব্যবহার করুন।
তথ্য বিশ্লেষণে যুক্তি দেখাতে however, but, on the other hand ইত্যাদি ট্রানজিশন শব্দ ব্যবহার করুন।
লেখার মান উন্নত করতে, শেষে Grammarly বা LanguageTool দিয়ে বানান, ব্যাকরণ ও স্টাইল চেক করে নিন।
এছাড়া, নিজের লেখা বন্ধু বা শিক্ষকের কাছে দেখিয়ে ফিডব্যাক নিন। কারণ নিয়মিত প্রতিক্রিয়া লেখার গুণগত মান বাড়াতে সহায়ক হয়।
বলা দক্ষতা (Speaking Tips)
বলতে স্বচ্ছন্দ হতে প্রতিদিন অনুশীলন করুন। একটি সাধারণ প্রশ্ন (যেমন “Describe your favorite book”) নিয়ে ১-২ মিনিট কথা বলার অভ্যাস করুন। নিজের ফোনে রেকর্ড করে শুনুন এবং উচ্চারণ বা বাক্য গঠন ঠিক হয়েছে কিনা দেখুন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
IELTS-এর Speaking বিভাগে তিনটি অংশ থাকে। Part 2-তে একটি cue card দেওয়া হয়, যেখানে একটি টপিক এবং কিছু নির্দেশনা থাকে। এতে পরীক্ষার্থীকে ১ মিনিটের প্রস্তুতি নিয়ে ২ মিনিট টানা কথা বলতে হয়।
অন্যদিকে, TOEFL Speaking-এ সাধারণত একটি ছবি বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট নিয়ে কথা বলতে বলা হয়।
তাই, টপিক হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল পয়েন্টগুলো সংক্ষেপে নোট করে নেওয়াই ভালো।
ভাষার গতি স্বাভাবিক রাখুন, এবং আত্মবিশ্বাসী ও উদ্দীপনাময় ভঙ্গিতে কথা বলার চেষ্টা করুন।
উদাহরণস্বরূপ, “for example”, “therefore”, “in my opinion” ইত্যাদি সংযোগসূচক ব্যবহার করে আপনার বক্তব্যকে সুসংগঠিত করুন।
প্রশ্নের উত্তর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে দিন, কারণ এতে আপনার উত্তর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বতঃস্ফূর্ত মনে হবে।
অতিরিক্ত সহায়তার জন্য, British Council-এর অফিসিয়াল Speaking Tips দেখে আরও পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ উন্নয়ন
TOEFL এবং IELTS-এ বিস্তৃত শব্দভাণ্ডার অপরিহার্য। প্রতিদিন ৫-১০টি নতুন শব্দ এবং ২-৩টি আইডিয়ম শিখুন। শেখার সময় প্রতিটি শব্দের জন্য উদাহরণ বাক্য তৈরি করুন। এছাড়া Anki বা Quizlet-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে নিয়মিত রিভিউ নিন। বিষয়ভিত্তিক শব্দভাণ্ডার গড়ে তুলুন: একবারে যেমন ‘ব্যাংকিং’র শব্দ সংগ্রহ করতে পারেন বা ‘পরিবেশ’ সম্পর্কে শব্দ তালিকা করতে পারেন।
শব্দভাণ্ডার বাড়ানোর জন্য প্রসঙ্গভিত্তিক শেখা জরুরি। দৈনন্দিন সংবাদ বা আর্টিকেল দেখে নতুন শব্দ নোট করুন এবং পরের দিন সেগুলো বাক্যে ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, সংবাদে “economic recovery” শব্দ দেখলে সেটি লিখে নিয়ে পরে বাক্যে প্রয়োগ করুন।
ব্যাকরণ উন্নয়নের জন্য নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যান। সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম (যেমন tense, passive voice) নিয়ে কাজ করুন। গ্রামার সঠিক থাকলে লেখা ও কথায় স্বচ্ছতা বাড়ে। প্রয়োজনে ইংরেজি গ্রামার টুল বা বই ব্যবহার করুন। উচ্চারণ শেখার জন্য BBC Learning English এবং VOA Learning English এর টিউটোরিয়াল দেখুন। TOEFL IELTS Preparation Tips
অভ্যাসমূলক পরীক্ষা (Practice Tests)
TOEFL এবং IELTS-এর অফিসিয়াল নমুনা পরীক্ষা ব্যবহার করুন। ETS TestReady থেকে বিনামূল্যে TOEFL প্র্যাকটিস টেস্ট নিন। IELTS-এর জন্য British Council ও IDP-এর ওয়েবসাইট থেকেও নমুনা পাওয়া যায়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি পূর্ণ পরীক্ষার মক টেস্ট দিন। প্রতিবার টাইমার চালিয়ে কাজ করুন; পরীক্ষার পর ফলাফল দেখে দুর্বলতা নির্ধারণ করুন।
পরীক্ষার পর উত্তর এবং ফল বিশ্লেষণ করুন। ভুলগুলো আলাদাভাবে নোট করলে পরবর্তীতে ফোকাস করা সহজ হয়। বন্ধু বা সহপাঠীদের সাথে উত্তর তুলনা করুন; একে অপরের ভুলগুলো শেয়ার করাও শেখার উপায়।
ইংরেজি পরিবেশ তৈরি করুন
যে কোনো দক্ষতা শেখার জন্য পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কিছু সময় ইংরেজিতে কাটান। যেমন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ইংরেজি নিউজ শুনুন বা রাতে ইংরেজি নাটক দেখুন। এতে ভাষার স্বাভাবিক ছন্দ ও উচ্চারণের সঙ্গে পরিচিতি হবে। বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গেও ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করুন। নিয়মিত কথোপকথন অনুশীলন করলে বক্তৃতা বিভাগের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
মেমরি ও মনস্তাত্ত্বিক কৌশল
শব্দ ও তথ্য মনে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করুন। উদাহরণস্বরূপ, নতুন শব্দের সঙ্গে ছবি বা গল্প জুড়ুন। প্রতিটি শব্দের জন্য একটি সহজ বাক্য তৈরি করুন। বা Flashcard অ্যাপ ব্যবহার করে শব্দ সংরক্ষণ করুন। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। নিয়মিত বিরতি ও পর্যাপ্ত ঘুম নিলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
সাধারন ভুল থেকে সাবধান
প্রশিক্ষণের সময় যে ভুলগুলো বেশি হয় সেগুলো আগে ঠিক করুন। যেমন, TOEFL লেখার জন্য passive voice ও IELTS কথার জন্য idioms শিখুন। আপনার practice essay বা speaking রেকর্ডিং শোনে ভুল চিহ্নিত করুন এবং সংশোধন করুন। Grammar ও বানান পরীক্ষার জন্য পর্যালোচনা চালিয়ে যান।
গ্রুপ স্টাডি এবং উৎসাহ
মিলেমিশে পড়াশোনা করা শেখার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। বন্ধু বা সহপাঠীদের গ্রুপ গঠন করে একসাথে পড়ুন। অধ্যায় শেষ করে নিজেদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর পর্ব বা মক টেস্ট করতে পারেন। এতে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞান অর্জন হয় এবং বোঝার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ে।
অনুপ্রেরণা এবং মনোবল
পরীক্ষার প্রস্তুতির পথে মনোবল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে ক্লান্তি লাগলে স্বল্প বিরতি নিন এবং নিজেকে ইতিবাচক রাখুন। লক্ষ্য স্মরণ করুন এবং নিজেকে বলুন, “আমি প্রস্তুত।” প্রিয় মোটিভেশনাল গান বা ভিডিও দেখেও ধৈর্য বাড়ান। পরীক্ষার দিন নিজেকে উৎসাহিত করে বলুন, “আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।” এই ইতিবাচক মনোভাবে আপনার প্রস্তুতি আরও ফলপ্রসূ হবে। TOEFL IELTS Preparation Tips
দুর্বলতা চিহ্নিতকরণ
মক টেস্টের পর দেখুন কোন অংশে বেশি ভুল হচ্ছিল। সেই অংশটি আলাদা করে অনুশীলন করুন। ধরুন, শোনা অংশের স্কোর কম হলে প্রতিদিন কিছু ইংরেজি শুনুন — পডকাস্ট বা সংবাদ; লিখনের নম্বর কম হলে বেশি করে এ্যাসে লিখুন এবং সংশোধন করুন। ধৈর্য নিয়ে দুর্বলতা দূর করার চেষ্টা করলে সামগ্রিক স্কোর উন্নতি হবে।
ব্যবধান নির্ধারণ (Score Gap)
নিজের বর্তমান স্কোর এবং লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ব্যবধান মূল্যায়ন করুন। বড় ব্যবধান হলে এটিকে ছোট পর্বে ভাগ করুন। উদাহরণস্বরূপ, ২ মাসে ১০ পয়েন্ট বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন অল্প করে অনুশীলন করুন। প্রতিটি মক টেস্টে সামান্য ভালো করার লক্ষ্য রাখুন; মোট লক্ষ্য সহজে পূরণ করা হবে।
চূড়ান্ত প্রস্তুতি
পরীক্ষার কয়েক সপ্তাহ আগেই অতিরিক্ত চাপ এড়ান। পুরনো মক টেস্টগুলো একবার দেখে নিন এবং দৈনিক শর্ট নোট পড়ে যান। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছেত্রে প্রবেশপত্র, পরিচয়পত্র ও অনুমোদিত অন্যান্য জিনিস সঙ্গে রাখুন। পরীক্ষার সেশনের মাঝে বিরতি এলে সামান্য হাঁটাহাঁটি করুন অথবা চোখ বন্ধ করে কয়েকটি গভীর শ্বাস নিন; এতে মন সতেজ থাকে।
পরীক্ষার সময় ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। কঠিন প্রশ্ন এলে পরে ফিরে আসার পরিকল্পনা রাখুন। আত্মবিশ্বাসী থাকুন; আপনার পরিশ্রমের ফলাফল আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসবে।
TOEFL vs IELTS তুলনা
TOEFL ও IELTS পরীক্ষার কাঠামোয় কিছু পার্থক্য আছে। TOEFL iBT সাধারণত কম্পিউটারে হয় এবং অ্যাকাডেমিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন থাকে। IELTS-এ Academic এবং General Training দুইটি ক্যাটাগরি রয়েছে; Academic-এ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের মত বিষয়, General-এ সাধারণ জীবনের বিষয় থাকে। Listening বিভাগে TOEFL-এ প্রধানত আমেরিকান উচ্চারণ থাকে, IELTS-এ ব্রিটিশ ও অন্যান্য উচ্চারণ শোনা যায়। Writing এবং Speaking-এর কাঠামোয় পার্থক্য থাকলেও উভয় পরীক্ষায় ইংরেজি চারটি দক্ষতার (পড়া, লেখা, কথা, শোনা) গুরুত্ব অপরিবর্তিত। আপনার প্রস্তুতি শেষ হলে যেকোন পরীক্ষায় পার্থক্য সামলানোর দক্ষতা পাবেন। TOEFL IELTS Preparation Tips
ব্যবহৃত রিসোর্স
এই গাইডে উল্লেখিত কৌশল এবং টিপসগুলো TOEFL ও IELTS প্রস্তুতি সম্পর্কিত অফিসিয়াল তথ্য এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে। আপনি চাইলে ETS-এর TOEFL নির্দেশিকা ও British Council IELTS প্রস্তুতি দেখতে পারেন।
উপরোক্ত পরামর্শগুলো নিয়মিত মেনে চললে TOEFL অথবা IELTS-এ কাঙ্ক্ষিত স্কোর পাওয়া সহজ হবে। ধারাবাহিক অনুশীলন এবং ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। আপনার প্রস্তুতিতে শুভকামনা রইলো!
আরো দেখুনঃ আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা করার টিপস Tips for Balancing Income and Expenses
Best AI Content Creation Tools in 2025 । সেরা এআই কনটেন্ট টুলস
Benefits of Digital Wallets ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহারের সুবিধা
সূত্র: TOEFL ও IELTS প্রস্তুতি সংক্রান্ত অফিসিয়াল নির্দেশিকা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে টিপসগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

